করমতলা খ্রিষ্টান হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হতে চলেছেন গোপালগঞ্জের টমাস হালদার

করমতলা খ্রিষ্টান হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হতে চলেছেন গোপালগঞ্জের টমাস হালদার
জেমস রহিম রানা: ঢাকার অদূরে অবস্থিত গাজীপুরের টঙ্গী করমতলা খ্রিষ্টান হাসপাতালের চিকিৎসকদের অপ-চিকিৎসার শিকার হয়ে পঙ্গু হতে চলেছেন টমাস হালদার নামে এক ব্যক্তি। তিনি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী টমাস হালদারের ভাষ্যমতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোমরে ব্যথা জনিত অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে তিনি করমতলা খ্রিষ্টান হাসপাতালে যান। এসময় হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে একটি ইনজেকশন দেয়ার প্রয়োজন বলে জানানো হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকের লিখিত প্রেসক্রিপশন মোতাবেক হাসপাতালের নিজস্ব ফার্মেসী থেকে ইনজেকশন নিয়ে এক নার্স তার নাভীর পাশে পুশ করে। এই ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথেই তার শরীরে যন্ত্রণা শুরু হয়। মাত্র পাঁচ ঘন্টার মধ্যেই তার একটি পা ফুলে ওঠে এবং কথা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তার বাম পা ঝলসে গিয়ে বাস্ট হয়ে যায়।
এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভীত হয়ে পড়ে এবং তার পা কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। কিন্তু টমাস হালদারের পরিবারের সদস্যরা তার পা কেটে না ফেলে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এতে তার পা রেখেই চিকিৎসা সম্ভব বলে আশ্বাস পেয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা হয়। কিন্তু করমতলা খ্রিষ্টান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেয়ার মাধ্যমে তাদের দায় এড়িয়ে যায়। এরপর তারা আর কোন খোঁজ নেয়নি।
এদিকে দীর্ঘ তিন বছরের অধিক সময় চিকিৎসার কারণে বর্তমানে তিনি অর্থনৈতিক ভাবে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে নিজের ভিটেমাটিসহ সকল সহায় সম্পদ বিক্রি করে বর্তমানে স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় (থানার সামনে) ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। তার চিকিৎসার জন্য এখনো প্রচুর অর্থের প্রয়োজ যা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে দিন দিন পঙ্গুত্ব বরন করতে চলেছেন তিনি। তার সুস্থতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের সকলস্তরের মানুষের সহায়তা ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। তাকে সহযোগিতা সহ যেকোন প্রয়োজনে +8801905882920 ( বিকাশ, হটস্ আপ/ইমু ) নাম্বারে তার সাথে যোগাযোগ করা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।