মণিরামপুরে এক মাসে জরা রোগে অর্ধশতাধিক গরুর মৃত্যু

এবিসি বাংলা ডেস্কএবিসি বাংলা ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:17 PM, 21 March 2019

>>>অবশেষে গরুর ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু
আব্দুর রহিম রানা: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ ও মনোহরপুর অঞ্চলে খুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে গরু ছাগলের মৃত্যুর ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করায় অবশেষে প্রশাসনের টনক নড়েছে। ফলে রোগের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে প্রানী সম্পদ বিভাগ। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে অর্ধশতাধিক গরু মারা গেছে বলে জানা গেছে। সময় মত এ রোগের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন না দেবার কারনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের পশু পালনকারী খামার ও গোয়ালঘরে। বর্তমানে পশু পালনকারীদের মাঝে খুরা ও জ¦রা রোগের আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই এ রোগের আতঙ্কে গরু ছাগল কম মূল্যে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। আর এ সুযোগটি ব্যবহার করছে এক ধরনের মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা। গত সোমবার একই দিনে হানুয়ার গ্রামের দাউদ গাজীর ১টি, কোমলপুর গ্রামের নিত্যানন্দের ১টি ও চন্ডিপুর গ্রামের আনিছুরের ১টি, মনোহরপুরের খাকুন্দী গ্রামের রিজাউল ইসলামের ১টিসহ ১ মাসের মধ্যে অর্ধশতাধিক গরু মারা গেছে। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে রামপুর গ্রামের সাবেক প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের ৩টি, শয়লা গ্রামের মোস্তাকের ১টি, আব্দুল্লার ১টি, হরিশপুর গ্রামের তপনের ১টি, রশিদের ১টি, কামরুলের ১টি, হানুয়ার গ্রামের বাগের আলী পাড়ার মিজানুর রহমানের ১টি, জামালের ১টি, মুকুলের ১টি, নুরআলীর ১টি, তবিবর মাষ্টারের ১টি ও ঋষি পাড়ার গনেশের ১টি, চন্ডিপুর গ্রামের সোহারবের ১টি, ঝাঁপা গ্রামের এনামুলের ১টি, হারুনের ১টি, শাহাজানের ১টি, মোশারফের ১টি, ভরতপুর গ্রামের আনছারের ১টি, রাজগঞ্জ বাজারের হোটেল মালিক টিপুর ১টি, মোবারকপুর গ্রামের বিল্লালের ১টিসহ মোট ২৪টি গরু মারা গেছে। এদিকে রাজগঞ্জ অঞ্চলের মশি^মনগর, চালুয়াহাটী, ঝাঁপা, হরিহরনগর ও খেদাপাড়া, ও মনোহরপুরসহ ৭/৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ রোগে ব্যপক ভাবে গরু, ছাগল আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সুযোগে গ্রাম অঞ্চলের অনভিজ্ঞ হাতুড়ে পশু চিকিৎসকরা নিম্ম মানের কিছু ঔষুধ পশু পালনকারীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে রাজগঞ্জ প্রানী সম্পদ উপকেন্দ্রের কর্মকর্তা নুরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ইতি মধ্যে গ্রামে গ্রামে যেয়ে এ রোগের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন এফ এম ডি গরু ছাগলের দেওয়া শুরু করেছি। গত রবিবার হানুয়ার গ্রাম, সোমবার ঝাঁপা গ্রাম ও বুধবার চন্ডিপুর গ্রামসহ মোট ৬শ অধিক গরুর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পশুপালনকারীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন গোয়াল ঘরে ডিজইন ফেক্টেড স্প্রে করা ও আক্রান্ত গরু ছাগল আলাদা করে রাখার এবং খুদের ভাত খাওয়ানো নিষেধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই নিয়ম গুলো মেনে চললে এ রোগে আক্রান্ত থেকে গরু ছাগলের রক্ষা করা সম্ভব।

আপনার মতামত লিখুন :