ফের বেপরোয়া রনির খুনিরা:বাদী পরিবারকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

এবিসি বাংলা ডেস্কএবিসি বাংলা ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  10:43 PM, 09 March 2019

অমিয় বিশ্বাস: আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রনি বাবুর খুনিরা। শুধু মামলা প্রত্যাহার নয়; এবার এলাকা ছেড়ে যেতে বাদীর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। মামলার বাদী নিহতের মা আয়শা বেগম প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কুলকিনারা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। রনি বাবু শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। পড়ুন>>>অভয়নগরে আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে শহরের কালেক্টরেট পার্কে  ৪/৫ জন সন্ত্রাসী রনি বাবুকে ছুরিকাঘাত করে খুন করে। এঘটনায় তার মা আয়শা বেগম বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এঘটনার সাথে জড়িত অন্তরা খাতুন নামে এক কিশোরীকে আটক করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আব্দুল কাদের শেখের ছেলে কবির হোসেন, আয়নালের বাড়ির ভাড়াটিয়া আলী আজিম শেখের ছেলে ফিরোজ হোসেন, মিজানুর রহমানের ছেলে আরিফ হোসেন, মৃত আকবার খাঁর মেয়ে অন্তরা আক্তার অনু এবং বেজপাড়া তালতলা মোড় এলকার রাজনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত হজরত আলী খানের ছেলে আজিম খান পারভেজের নাম উল্লেখ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এসআই আব্দুল মিন্টু হোসেন তদন্ত শেষে ওই ৫ জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। কিন্তু চার্জশিট দাখিলের পূর্বে কবির হোসেন, ফিরোজ হোসেন ও আজিম খান পারভেজকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তারা আইনের চোখে পলাতক ছিল। পড়ুন>>>নড়াইলে ট্রাকে প্রাণ নিলো দুই কিশোরের

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মণিরামপুরে ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কবির পুলিশের হাতে আটক হয়। এরপর আদালত তাকে রনি বাবু হত্যা মামলায় শ্যোনএরেস্ট দেখায়। বর্তমানে কবির জেলহাজতে আটক রয়েছে। কিন্তু মণিরামপুরে আটকের দুইদিন আগে কবির, তার বড় ভাই পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আরেক ভাই সাগর হোসেন মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য রনির মাকে হুমকি দেন। এঘটনায় রনির মা জাকির, কবির ও সাগরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় আরেকটি সাধারণ ডায়ের এন্ট্রি করেন। গত শুক্রবার বিকেলে থানা পুলিশ ওই সাধারণ ডায়েরি তদন্তে এলাকায় যায়। এতে জাকিরের পরিবার আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এক পর্যায় তারা মামলার বাদী আয়শা বেগমকে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য বলেন।

পড়ুন>>>নড়াইলে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা

কিন্তু প্রত্যাহার না করলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন কুলকিনারা করতে পারেনি ওই পরিবার। ফলে বর্তমানে নিহত রনির মা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন।রনির মায়ের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে উভয় পক্ষকে থানায় এসে ঘটনার সত্যতা তদন্তের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানে শুধু মাত্র বাদী আয়শা বেগম আসছিলেন। বিবাদী পক্ষ আসেনি।

খুলনা বিভাগ

আপনার মতামত লিখুন :