এখন গ্রাম ও শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পার্থক্য নেই-শিক্ষা উপমন্ত্রী

বাবুল আক্তার, চৌগাছা: ‘সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতির কারনে নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে’ মন্তব্য করে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) বলেছেন, সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলনের কারনে এখন গ্রাম ও শহরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ফলে সবাই এখন শিক্ষায় সমান অধিকার পাচ্ছে। পড়ুন>>>নকল করায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার: সরবরাহকারী ছাত্রলীগ নেতার কারাদন্ড
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার যশোরের চৌগাছায় এইসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম পত্রের অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মন্ত্রী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে বিকালে শহরের ডিভাইন সেন্টারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির জীবন মান উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ব্যাপারে স্থানীয় সংসদের কোনো সুপারিশের প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন নীতিমালার ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। ২০১৮ সালের নীতিমালার আলোকে সরকার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকলকে সরকারি সুযোগ সুবিধার আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব) নাসির উদ্দীন, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলিম, সচিব প্রফেসর তবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলম,পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মধাব চন্দ্র রুদ্র, যশোর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম হাবিবুর রহমান, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তানিছুর রহমান লাড্ডু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয়, পৌর মেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেল, চৌগাছা ও যশোরের বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে মন্ত্রী যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনারে বিজ্ঞানের চর্চা বাড়াতে এবং বিজ্ঞানীদের জন্য গবেষণা আরো বেশি বোধগম্য করতে বিজ্ঞানের বই-পুস্তক ও সাময়িকীসমূহ বাংলাভাষায় অনুবাদের আহ্বান জানিয়েছেন।
‘ট্রেন্ডস ইন মাইক্রোবায়োলজি ফর সাসটেইনবল অ্যাগ্রোইকোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এই সম্মেলন বিএসএম এবং যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তিনি বলেন, ‘উচ্চতর জ্ঞান-বিজ্ঞানের গবেষণার বই-পুস্তকমূহ ইংরেজি ভাষায়। ভাষার এ প্রতিবন্ধকতার জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপকারিতা আত্মস্থ করতে পারছি না। আমাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বই এবং জার্নালগুলো যদি বাংলাভাষায় অনুবাদ করা হয়, তাহলে বিজ্ঞানের ধারণাগুলো সকলে সহজে বুঝতে পারবে। আমাদের গবেষকদের সংখ্যাও বাড়বে।’
গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগের কথা জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন একজন প্রধানমন্ত্রীকে পেয়েছি, যিনি আগামী ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছেন। গবেষণা খাতে আরো বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আমরা সচেষ্ট হওয়ার চেষ্টা করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আমি কথা বলবো।’
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের ফেলো মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. এএসএম মতিউর রহমান ।
খুলনা বিভাগ