ইউএনও’র চেষ্টায় বিধবা ভাতার কার্ড পেলেন ৮২ বছরের আশালতার

এবিসি বাংলা ডেস্কএবিসি বাংলা ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:10 PM, 19 March 2019

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানার চেষ্টায় বিধবা ভাতার কার্ড পেলেন ৮২ বছর বয়সী আশালতা হালদার।

সোমবার আশালতার হাতে বিদবা ভাতার কার্ডটি তুলে দেন কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোটচাঁদপুর পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের ব্রিজাঘাট হালদার পাড়ার মৃত তিলক মন্ডলের সহধর্মিনী আশালতা। দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে ছিলো তাদের পরিবার।

গত ২০১৩ সালে মৃত্যু হয় তিলক মন্ডলের। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে পড়ে আছে প্যারালাইসিসেপঙ্গু হয়ে। আর ছোট ছেলে পরিবার ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতে। মেয়েদের মধ্যে মারা গেছেন একজন। আশালতার স্বামী যখন মারা যান, তখন তাঁর বয়স ছিলো ৭৬ বছর। তখনি তিনি বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড পাওয়ার যোগ্য ছিলেন।

এ বিষয়ে আশালতা জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমি প্রথমে সে সময়ের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজেদুল ইসলাম, নির্বাচনের পরে নতুন কাউন্সিলর রেজাউল করিম পাঠান ও পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম জাহিদের কাছে গিয়েও পাইনি কোন কার্ড। সবাই করে দেবেন বলে আশার বাণী শুনিয়েছেন। কিন্তু কোন ফল হয়নি। সর্ব শেষ আমাকে নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টিগোচরে আসে। তিনি সেই প্রতিবেদন দেখে আমাকে একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দিলেন।

এবিষয়ে কথা হয় কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানার সাথে। তিনি বলেন, পত্রিকায় আশালতার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দেখে সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে খোঁজ খবর নিতে বলেছিলাম। সোমবার আশালতাকে বিধবা ভাতার কার্ডটি দিতে পেরেছি।

খুলনা বিভাগ

আপনার মতামত লিখুন :