স্ত্রী পাচার মামলায় যশোর আদালতে স্বামীসহ দু’জনের কারাদন্ড

এবিসি বাংলা ডেস্কএবিসি বাংলা ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  10:25 PM, 09 April 2019

এবিসি নিউজ:স্ত্রীকে ভারতে পাচারের দায়ে যশোরে স্বামীসহ দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- ও অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুছা এ রায় দিয়েছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, নড়াইল সদরের চুনখোলা গ্রামের আজিবর রহমান বিশ্বাসের ছেলে পাচার হওয়া গৃহবধূর স্বামী জমির উদ্দিন বিশ্বাস ও যশোরের অভয়নগরের সিদ্দিপাশা গ্রামের শাহাদৎ মীরের ছেলে পলাশ। দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় সাগর শিকদার ও লিটন বিশ্বাস নামে দুইজনকে খালাশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন বিশেষ পিপি এম ইদ্রিস আলী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের এক মেয়েকে জমির উদ্দিন বিয়ে করে। বিয়ের পর মেয়েটি বাবার বাড়িতে থাকতেন। ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার স্বামী জমির উদ্দিন শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রীকে জানায় তারা দুইজন বেশি বেতনে চাকরি করে জমি কিনে বাড়ি করবে। পরে পলাশের সহায়তায় তাকে অবৈধ পথে ভারতের পুনে শহরে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়। একমাস পর বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানালে তারা উদ্ধার করে একটি সেল্টার হোমে রাখে। ভারতীয় আদালতের আদেশে ২৭ জুলাই পুলিশ ও বিএসএফ সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বিডিআর উদ্ধার করে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করলে তিনি ওই থানায় একটি অভিযোগে দেন। ঘটনাস্থল যশোরের বাঘারপাড়া এলাকায় হওয়ায় অভিযোগটি কলারোয়া থানা কর্তৃপক্ষ বাঘারপাড়া থানায় পাঠিয়ে দেয়। তদন্ত শেষে ২৩ ডিসেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শওকত হোসেন।
স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি জমির উদ্দিন বিশ্বাসকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- এবং অপর আসামি পলাশকে ১০ বছর সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন বিচারক।

খুলনা বিভাগ

আপনার মতামত লিখুন :