এবিসি ডেস্ক:হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করার অবকাশ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এসব কথা বলেন হেফাজতের একাংশের যুগ্ম মহাসচিব বহুল আলোচিত মামুনুল হক। আরও খবর>>হেফাজতের ভাঙ্গন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত :মামুনুল -বাবুনগরী থাকবেন না নেতৃত্বে
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করার ঘটনায় স্থানীয় সরকার সমর্থকেরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। ওই দিন তিনি জানান, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। কয়েকটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী জানতেন না। তা ছাড়া রিসোর্টে স্ত্রীর নাম সঠিক বলেননি মামুনুল।
ওই ঘটনার পাঁচ দিন পর মামুনুল হক লাইভে এসে বলেছেন, আমি একাধিক বিয়ে করেছি। ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী ও বাংলাদেশের আইনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।
নিজের একাধিক বিয়ের কথা উল্লেখ করে মামুনুল বলেন, একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন। চারটি বিয়ে করলে কার কী?
রয়েল রিসোর্টে তিনি ঘেরাও থাকা অবস্থায় স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীরা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। পরে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।
ওই দিনের ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলায় মামুনুল হককে আসামি করা হয়েছে।
মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্তের নির্দেশ
গতকাল লাইভে এসে মামুনুল বলেন, যারা আমার ব্যক্তিগত আলাপ, কথা জনসম্মুখে এনেছেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করবো।
মামুনুল বলেন, ওই দিন অসাবধানতা ও নিজস্ব নিরাপত্তা না নিয়ে রয়েল রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়া উচিত হয়নি।
মামুনুল হক ওই দিনের ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। এ ছাড়া স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদেরও দায়ী করেন।