সরকারি মাল দরিয়ায় ফেল

মণিরামপুর প্রতিনিধি: সরকারি মাল, দরিয়ায় ফেল-এই প্রবাদ বাক্যটি গ্রামাঞ্চলে এখনো অনেকের মুখে প্রায়ই শোনা যায়। যশোরের মণিরামপুরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাচীরের অক্ষত প্লাস্টার লোহার খন্ড দিয়ে উঠানোর চিত্র দেখে অনেকেরই এই মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। সচেতন মহলের অভিযোগ ঘষা-মাজা করে সরকারি অর্থ লোপাটের তৎপরতা শুরু হয়েছে। পড়ুন>>>শৈলকুপায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা
বিদ্যালয়টির প্রাচীরের প্লাস্টার ভাল থাকা সত্বেও সংস্কারের নামে ফের প্লাস্টার করানো হচ্ছে। তবে উদ্দেশ্য এই কাজ দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ নয়-ছয় করা, এমন অভিযোগ সর্বমহলের। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অনেকেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, যশোর শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপসহকারি প্রকৌশলী মারুফ হোসেন কাজটি দেখভাল করছেন। এ কাজের কোন কাগজপত্র তাকে দেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, প্রাচীরের প্লাস্টার অক্ষত রয়েছে। শুধুমাত্র রং উঠে গেছে। সেটি ঘষা-মাজা করে নতুন করে রং করলেই দীর্ঘদিন ভাল থাকবে।
এই কর্মস্থলে সদ্য যোগদান করেছেন উল্লেখ করে উপসহকারি প্রকৌশলী মারুফ হোসেন বলেন, তার পূর্বের দায়িত্ব প্রাপ্ত সুবোধ বাবু গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই কাজের স্টিমেড (প্রাক্কলন) করে গেছেন। এ প্রাচীরের সংস্কার, গেটে টাইলস লাগানো বাবদ প্রায় ৫ লাখ টাকা প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, কাজের ব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। সরকারি অর্থ এভাবে অপচয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামের ব্যববহৃত মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপসহকারি প্রকৌশলী মারুফ হোসেন জানান, স্যার জরুরী কাজে ঢাকায় আছেন। সন্ধ্যায় ফোন করলে পাওয়া যাবে।
এরপর সোমবার সন্ধ্যা ৭.১৩ মিনিটে নির্বাহী প্রকৌশলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
খুলনা বিভাগ