শিশুছাত্রী তিশাকে ৪-৫ জনে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করে

যশোর আদালতে এক আসামির স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
এবিসি নিউজ: তিশা যখন মাঠে খেলছিল ঠিক তখন তাকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী শামিমের বাসায় ৪/৫ জন পালাক্রমে ধর্ষণের পর যশোরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় শিশু শিক্ষার্থী কথা আফরিন তৃষাকে। এরপর লাশটি বস্তাভর্তি করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়। আদালতে জবানবন্দিতে এই তথ্য দিয়েছে সাইফুল ইসলাম নামে এক আসামি। পড়ুন>>>শিশুছাত্রী তিশার খুনি শামীম গোলাগুলিতে নিহত
বৃহস্পতিবার জুডিসিয়াল ম্যআজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রহমান তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। সাইফুল ইসলাম শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামের গাজীপাড়ার আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ৩ মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে খেলা করার উদ্দেশ্যে বের হয় তৃষা। এসময় তাকে শামিমের ভাড়া বাসায় কথা আছে বলে ডেকে নেয়া হয়। এরপর শামিমসহ আমরা ৪/৫ জনে ধর্ষণ করি। এক পর্যায়ে সে চিৎকার করতে গেলে মুখ চেপে ধরি। এরপর তিশা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সবাই আতংকিত হয়ে তাকে আবারো শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। লাশটি একটি বস্তায় ভর্তি করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। সবাই পালিয়ে চলে যায়। পরদিন সন্ধ্যায় এলাকার লোকজন সেই মাটিচাপা থেকে তৃষার লাশ উদ্ধার করে। কিন্তু আমি এলাকায় থাকি। পরদিন মানববন্ধনের সময় পুলিশ আমাকে আটক করে। আর শামিম বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়।
এঘটনার মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৩ মার্চ বিকেলে খেলা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশু শিক্ষার্থী তৃষা। এরপরদিন ৪ মার্চ সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে গর্ত দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। গর্ত খুঁড়ে তৃষার লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামের সালভিশন পাড়ার ওমর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া ইজিবাইক চালক তরিকুল ইসলাম বাদী অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে সাইফুল ইসলামকে আটক করে। পরে আদালত তাকে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে সাইফুলকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগ