রাজনীতিমুক্ত যবিপ্রবিতে অস্ত্রের ঝনঝনানি:বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

আব্দুর রহিম রানা: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষ থেকে চারটি বড় রামদা, ড্যাগার, ছুরি, একাধিক লাটিসোঁটা, লোহার পাইপ, বিপুল সংখ্যক রেল লাইনের পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টার দিকে হলের প্রভোস্ট বডি, প্রক্টর বডির উপস্থিতিতে ইতোপূর্বে সিলগালাকৃত শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষ খোলা হয়।
এরআগে ১৪ সালে রিয়াদ নামে এক শিক্ষার্থী খুন হলে যবিপ্রবি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তারপরও কর্তৃপক্ষত পুর্বের সিদ্ধান্ রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে উদ্যোগ নেননি অথবা চেষ্টাও করা হয়নি। যেকারণে আজ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পুরো ক্যাম্পসজুড়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
কারণ েএখানে যারা পড়াশুনা করতে এসেছে তাদের প্রায় সবাই গ্রামের কৃষক শ্রমিক দিনমজুরের সন্তান। যারা কখনোই এধরণের অস্ত্র, খুনোখনি দেখতে অ্ভ্যস্
রোববার কক্ষে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রের সন্ধান পেয়ে প্রভোস্ট বডি এবং প্রক্টর বডি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেন। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে অস্ত্রগুলো জব্দ করে নিয়ে যান।
শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট বডি থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অন্তর দে শুভ এবং ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমে আজম শুভকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থান করতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই দুই শিক্ষার্থী শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৩১৬ নম্বর কক্ষে থাকতো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের কক্ষ সিলগালা করে দেয় হল প্রশাসন।
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করার জন্য রোববার ৩১৬ নম্বর কক্ষ সিলগালা খোলার পর এসব অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
কক্ষ খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক শেখ মিজানুর রহমান, শহীদ মসিয়ূর হলের প্রভোস্ট প্রকৌশলী ড. আমজাদ হোসেন, সহকারী প্রভোস্ট মজনুজ্জামান, ড. ফরহাদ বুলবুল, মোহাম্মদ নওশীন আমিন শেখ, সহকারী প্রক্টর হারুন রশিদ।
তবে প্রতিষ্ঠানটির শুরুতে রিজোনবোর্ডের সিদ্ধান্ত ছিল রাজনীতিমুক্ত থাকবে যবিপ্রবি কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেক ছাত্র সংগঠন রাজনীতির বিস্তার ঘটিয়েছে।
খুনোখনির ঘটনা ঘটেছে। লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে শিক্ষার্থীর।
সচেতন মহলের প্রশ্ন তাহলে কি যবিপ্রবি পিছু হটেছে ?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক ভিসি;র প্রত্যক্ষ ও পরোপক্ষ মদদে ছাত্র সংগঠনগুলো ক্যাম্পাসে রাজনীতি শুরু করার সাহস পায়।
তার ফলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী রিয়াদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই হত্যা মামলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যশোর শহর।
১৪ সালের ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের তৎসময়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকরা শহরে বিক্ষোভ করে।
সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ সমর্থকরা খুনিদের গ্রেফতার দাবিতে শহরে বিশাল মিছিল বের করেন। তারা অবিলম্বে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, কোতোয়ালি থানার ওসির অপসারণ এবং মামলা প্রত্যাহার দাবিতে শহরে মিছিল করে। দুইপক্ষের সমর্থকদের মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে গোটা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে শহরে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করায় কোনো অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটেনি।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র এএসপি রেশমা শারমীন বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শহরে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, যবিপ্রবির ছাত্র নাইমুল ইসলাম রিয়াদ ছাত্রলীগের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন হয় বলে প্রচার হয়। সেদিনই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামিম হাসানের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি যবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকসহ চার ছাত্রকে বহিষ্কার করে।
পরে নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
তারপর সেই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার পাননি নিহতের স্বজনরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নুন্যতস সহযোগিতা করেননি বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
অবস্থায় ফের রোববার প্রচুর অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে যবিপ্রবিকে রাজনীতিমুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুপ দেয়া দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষা ও তাদের অভিযোগ রা
খুলনা বিভাগ