যশোর-বেনাপোল সড়কের গাছ অপসারণে সংবাদ সম্মেলন

এবিসি নিউজ: যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দুইপাশের শতবর্ষী ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণ করে ছয় লেনের সড়ক নির্মাণের দাবি তোলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড এজেন্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ সংবাদ সংম্মেলন করে এই দাবি জানান। এদিকে ব্যস্ততম এই মহাসড়কের ৩৮ কিলোমিটারে থাকা ঝুকিপূর্ণ গাছ অপসারণের দাবিতে পথে পথে মানববন্ধনও করেছেন স্থানীয়রাভ
আজ ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় ঝিকরগাছা উপজেলা সদর বাজারে মানববন্ধন করা হয়। কর্মসূচিতে কয়েক শত মানুষ অংশ নেন। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঝিকরগাছা পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, যুগ্ম সম্পাদক ও ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এরপর ১২টায় মানবন্ধন হয় ঝিকরগাছার নবীবনগর বাজারে। এ বাজারে সম্প্রতি সড়কের পাশের দুইটি শতবর্ষী গাছ উপড়ে পড়ে। দুপুর একটায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার নাভারণ বাজারে। বেনাপোলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বেনাপোল স্থল বন্দরের উন্নয়নে গাছ অপসারণসহ চারদফা দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমাদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ সম্পাদন হয় যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক দিয়ে। এ সড়কটি বেনাপোল ও পেট্রাপোল স্থলবন্দকে এশিয়ান হাইওয়ের সাথে চার দেশীয় ট্রানজিট করিডোরে সংযুক্ত করেছে। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজারেরও বেশি যানবহন চলাচল করে। কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ মহাসড়কটি এখনো দুই লেনে পড়ে আছে। যা অনেক আগেই ছয় লেন বা আট লেনে উন্নীত করা দরকার ছিলো। এ মহাসড়কের পাশে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় কয়েক শত পুরানো গাছ জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। সড়কটি পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণ কাজের সময়ে সড়কের পাশের অধিকাংশ গাছের শেড়ক কাটা পড়েছে। যে কারণে গাছগুলো উপড়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে চারটি গাছ উপড়ে পড়েছে। মানুষের জীবণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অবিলম্বে গাছগুলো অপসারণ করে এ মহাসড়কটি ছয় লেন বা আট লেনে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, প্রতিদিন ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ছে। যশোরে দুইটি ইপিজেড ও অর্থনেতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা রয়েছে। এখনই সকড়টি সম্প্রসারণ না করলে বন্দরে তীব্র যানজট ও পণ্যজটের সৃষ্টি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়বে।
সম্মেলনে বলা হয়েছে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এখান থেকে সরকার বছরে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে। কিন্তু এ বন্দরের উন্নয়নে সরকারের যতটা গুরুত্ব দেওয়ার দরকার ছিলো ততটা দেওয়া হয়নি। এজন্য মৃতপ্রায় এসব গাছ অপসারণ করে মহাসড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করাসহ চারদফা দাবি জানানো হচ্ছে। অপর তিনটি দফার মধ্যে রয়েছে, বেনাপোল স্থলবন্দরকে চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দরের মত পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করা; সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য ইমিগ্রেশন চালু রাখা এবং খুলনা-কোলকাতা মৈত্রী ট্রেনে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২০০টি আসন বরাদ্দ রাখা।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেষ্ঠ সহসভাপতি ও শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক মহসীন মিলন, সাবেক সভাপতি শামসুর রহমান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের বাংলাদেশ উপ-কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান প্রমুখ।
খুলনা বিভাগ