যশোর এমএম কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

যশোর এমএম কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্রী বন্যা সাহা (২১) গলায় শাড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি তৃতীয় বর্ষে পড়তেন। মায়ের সাথে বাকতিন্ডায় জড়িয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বন্যা। ঘটনাটি ঘটেছে মণিরামপুর বাজারের দোলখোলায়। তিনি ব্যবসায়ী গোপাল সাহার মেয়ে।
সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১০টার দিকে মায়ের ওপর অভিমান করে বন্যা আত্মহত্যা করেন-দাবি স্বজনদের।
এরআগে গত শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে উপজেলার খেদাপাড়া গ্রামে সন্তানকে ভাত খাওয়ানো নিয়ে জা’য়ের সাথে কথা কাটাকাটিতে অভিমান করে রুমি খাতুন নামে এক সন্তানের জননী বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
মণিরামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী বলেন, সোমবার সকালে মা রিংকু সাহার সাথে কথা কাটাকাটি হয় বন্যার। এরপর নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে শাড়ি জড়িয়ে গলায় ফাঁস দেয় বন্যা। টের পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে গেলে চিকিৎসক বন্যাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বজনদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়া কলেজ ছাত্রীর লাশ সৎকারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
সচেতন মহল বলছেন অনার্স পড়া মেয়ে মায়ের ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করে ঠিক করেনি। লেখাপড়ার জ্ঞান তাকে স্পর্শ করতে পারেনি বলেও মন্তব্য অনেকের।
তবে গত কয়েক বছর যশোর-ঝিনাইদহ অঞ্চলে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে-যা উদ্বেগের বলে জানিয়েছেন সমাজ সচেতন মহল।
বাংলাদেশ