মণিরামপুরে সংখ্যালঘু প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে বিপাকে প্রতিবেশিরা

এবিসি বাংলা ডেস্কএবিসি বাংলা ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:51 PM, 06 March 2019

 প্রতিবন্ধী গৃহবধুর বসতবাড়ি দখলের চেষ্টা ঠেকাতে আসা প্রতিবেশিদের ধরতে ব্যস্ত পুলিশ 

মণিরামপুর সংবাদদাতা: মণিরামপুরে গভীর রাতে এক সংখ্যালঘু প্রতিবন্ধীর জমিসহ বাড়িঘর দখলের চেষ্টায় ভাংচুর তান্ডবে আতঙ্কিত প্রতিবন্ধী বণানী মন্ডলের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীদের এগিয়ে আসা এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

পড়ুন>>>মণিরামপুরে গভীর রাতে পুলিশের সামনে সংখ্যালঘুর বাড়িতে তান্ডব
গ্রেফতার আতংকে রাতে নারী-পুরুষ বাড়িতে ঘুমোতে পারছে না বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগে জানা গেছে। তাদের অনেকেই পানের বরজসহ বিভিন্ন স্থানে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। প্রতিকারে এলাকাবাসি থানায় এসে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে থানা ও স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের উপস্থিতিতে ওই রাতে হাফিজুর রহমান, কামাল গাজী, মাহাবুর, কালাম মোড়লের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এই তান্ডব চালিয়েছে বলে ভুক্তভোগি বণানী মন্ডলের অভিযোগ।
বণানী মন্ডলের দাবি, ওই রাতে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর-লুটপাট, বিচালী ঘরে অগ্নিসংযোগ, তুলসি গাছ কেটে দেয়াসহ থালা-বাসন ভাংচুর চালিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেয় দখলবাজচক্র। এসময় তার ঘুমন্ত দুই শিশু সন্তান জয় মন্ডল ও কৃষ্ণ মন্ডলকে টেনে-হেঁচড়ে ঘরের বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। তান্ডব চলাকালে তাদের আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। যেকারণে এখন তাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় গত ৪ মার্চ সোমবার যশোর আদালতে হাফিজুর রহমান, কামাল গাজী, মাহাবুর, জয়দেব মন্ডল, কালাম মোড়লসহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনবেস্টিগেশন) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার রাত ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার খাকুন্দি গ্রামে এঘটনা ঘটলেও পুলিশের বিরুদ্ধে দোষীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ওই রাতে বণানী মন্ডলের আর্ত চিৎকারে এগিয়ে আসা নারান মন্ডল, দীপক মন্ডল, তাপস মন্ডলসহ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
নারান মন্ডল জানান, পুলিশের ভয়ে রাতে বাড়িতে ঘুমোতে পারছি না। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রতিবেশী অনেকেই বাড়ির পাশে পানের বরজে রাত কাটাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কালীপদ মন্ডল জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা থানার ওসির সাথে কথা বলেছেন।
ওসি সহিদুল ইসলাম জানান, হাফিজুর রহমানের দেয়া অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে, কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।

খুলনা বিভাগ

আপনার মতামত লিখুন :