মৃত মা-সন্তানকে রেফার্ডের চেষ্টা করে ধরা পড়লো আহছানিয়া মিশন হাসপাতাল

এবিসি ডেস্ক: ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তানসহ এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। রোববার রাতে উপজেলার আহছানিয়া মিশন চক্ষু ও জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের লোকজন পলাতক। তবে অভিযুক্ত ডা. আকসেদুর রহমান হাসপাতালের একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকেন বলে রোগীর স্বজনরা জানান। পড়ুন>>>ময়মনসিংহ মেডিকেলের পরিচালককে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে ক্লিনিক মালিকরা
মৃত ফাতেমা তুজ জোহরা চামেলি উপজেলার নলতা গ্রামের লিয়াকত হোসেনের মেয়ে ও শ্যামনগর উপজেলার কুপোট গ্রামের ফজলুর রহমান আকাশের স্ত্রী।
চামেলির চাচা আবদুল মান্নান জানান, রোববার বিকেলে গর্ভবর্তী চামেলিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। এরপর টানা চার ঘণ্টা কেটে যায় সেখানে। রাত ৭টার দিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হচ্ছিল তাকে। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা জানায় অবস্থা ভালো না, খুলনায় নিতে হবে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে তাকে দেখতে দেয়া হয়।
তিনি জানান, চামেলির মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল সে মারা গেছে। এ সময় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে হাসপাতালের লোকজন পালিয়ে যায়। অপারেশন করা ডা. আকসেদুর রহমান হাসপাতালের একটি রুমে দরজা বন্ধ করে ভেতরে ছিলেন। উত্তেজিত পরিস্থিতি কালীগঞ্জ থানা পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।
আবদুল মান্নান জানান, ডা. আকসেদুর রহমান ভুল অপারেশন ও চিকিৎসার মাধ্যমে গর্ভের সন্তানসহ মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমরা এ ডাক্তারের বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে ডা. আকসেদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র:জাগোনিউজ
শীর্ষ খবর