বনানীর আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫: হাসপাতালে ৭৫

>>>ফায়ার সার্ভিসের কার্যাক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন
>>>উদ্ধার কাজ করে বিমান বাহিনীর ৬টি হেলিকপ্টার
>>>সারারাত চলবে উদ্ধার অভিযান
>>>রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ
সমর ভৌমিক/আজাহার মাহমুদ,ঢাকা: বনানীর এফআর টাওয়ার ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিভিন্ন তলায় তল্লাশি চালিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫। এরআগে বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান আরও অন্তত ৬জন। তাদের মধ্যে নিরস ভি কে রাজা নামের একজন শ্রীলঙ্কান নাগরিক রয়েছেন। পড়ুন>>>বনানীর আগুন নেভাতে আকাশে উড়ছে হেলিকপ্টার
আহত হয়েছেন অন্তত ৭৫ জন। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের তিনজন কর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া ১০-১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। আগামীকাল শুক্রবার ১০টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলবে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, আমিনা ইয়াসমিন, পারভেজ সাজ্জাদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মনির হোসেন, মাকসুদুর রহমান, জেবুননেসা, তানজিলা, নাহিদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, রেজাউল করিম, জাফর, রুমকি আক্তার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এফআর টাওয়ারের আগুনে নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ২২ তলা এফআর টাওয়ারের নবম তলায় আগুন লাগে। এরপর তা ওপরের কয়েক তলায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক ও সুউচ্চ্চ লেডারসহ ২৫টি ইউনিট। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিভানো ও উদ্ধারকাজে অংশ নেন। উদ্ধারকাজে অংশ নেয় বিমানবাহিনীর পাঁচটি হেলিকপ্টার।
আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো তা জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভবনটিতে অন্তত এক হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। এখন পর্যন্ত এক শ্রীলঙ্কানসহ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালে মারা গেছেন আমিনা ইয়াসমিন, পারভেজ সাজ্জাদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মনির হোসেন, মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।
আমিনা ইয়াসমিন মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে। নিরস ভি কে রাজা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। আবদুল্লাহ আল মামুন, মাকসুদুর ও মনির হোসেন ইউনাইটেড হাসপাতালে। আর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।
পারভেজ সাজ্জাদ গোপালগঞ্জের কাশয়ানির বালুগ্রামের নজরুল ইসলাম মৃধার ছেলে। মামুন দিনাজপুর সদরের বালিয়াকান্দির আবুল কাশেমের ছেলে।
ঢাকা মেডিকেল সূত্র জানান, সেখানে বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অন্যদিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বেলায়েত হোসেন জানান, তার হাসপাতালে একজনের মরদেহ আনা হয়েছে। এছাড়া আহত অন্তত ৪০ জন ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। অন্য দুজন সিএমএইচে।
বিস্তারিত……..
ঢাকা বিভাগ