প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মণিরামপুরে পরাজিত প্রার্থী লাভলুর সংবাদ সম্মেলন

এবিসি নিউজ: প্রশাসনকে ব্যবহার করে পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করার তারই ইন্ধনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন লাভলুসহ অপর দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মিকাইল হোসেন ও রীতা পাড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের লিখিত অভিযোগ বলা হয়, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য অবৈধভাবে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন। তিনি নিজের ভাগ্নেসহ পচ্ছন্দের প্রার্থীদের জয়ী করতে প্রশাসনকে ব্যবহার করেন। এজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে প্রশাসনকে বাধ্য করান। আর ভোটের দিন নিয়োগ পাওয়া প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরা তার প্যানেলের পক্ষে ভোট গ্রহণ করতে বাধ্য হন। অন্যপ্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়। দখল করে নেওয়া হয় উপজেলার অনেকগুলো ভোট কেন্দ্র। ফলে মণিরামপুরের প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভোট গণনার সময়ও ভোট তসরুফের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, নির্বাচনের পর প্রতিমন্ত্রীর ইন্ধনে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যে উপজেলার হোগলাডাঙ্গা বাজার, বিজয়রামপুর, কাশীপুর, গোবিন্দপুর, বালিয়াডাঙ্গা, সালামতপুর, হরিহরনগর, কাটাখালী, তাহেরপুর, লাউড়ীসহ বিভিন্ন গ্রাম ও হাট-বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। দখল করে নেওয়া হয়েছে হরিহরনগরের বাওড়। ছালামতপুরে প্রতিমন্ত্রীর পোষ্য লিটন বাহিনী আজগর আলী নামে একজনের বাড়িতে বোমা হামলা করে। কিন্তু হামলার শিকার সেই আজগর আলীর বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে মণিরামপুরে দীর্ঘদিনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মণিরামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুর রহমান, গোপাল মল্লিক, প্রদীপ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা বিভাগ