পাইকগাছায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষেপেছে দালালচক্র!

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে একটি চক্র। চক্রটি শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানীমূলক অভিযোগ দায়েরসহ মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকরা। পড়ুন>>>যশোরের মণিরামপুরে সংখ্যালঘু প্রতিবন্ধীর…….
সূত্রমতে, উপজেলা শিক্ষা অফিসে একটি চক্র আধিপত্য বিস্তার করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। চক্রটি একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে অফিসে আসা শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের টাকা। বর্তমান শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৮ যোগদান করে শিক্ষা অফিসকে দুর্নীতি মুক্ত করতে চক্রটির সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেন। এতে তাদের আধিপত্য বিস্তার ও অর্থবাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা শিক্ষা অফিসারের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েন। অপরদিকে উপজেলার একজন সফল প্রধান শিক্ষক হিসাবে মিলিজিয়াসমিনের সুনাম ও সুখ্যাতি থাকায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার লক্ষে মিলিজিয়াসমিনকে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ন্যাস্ত করেন। মিলিজিয়াসমিন ২০১৮ সালের ২২ মার্চ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত, শিক্ষার মান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ে একটি পত্রিকা কর্ণার স্থাপন করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। তার এই জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্নীত হয়ে পূর্বের অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং মিলিজিয়াসমিনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে কতিপয় মহলের কেউ কেউ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী সাইফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মিলিজিয়াসমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে কাল্পনিক ও হয়রানীমূলক অভিযোগ দায়ের ও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করার মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন। এতে শিক্ষক অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পড়ুন>>>কালিগঞ্জে শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা….
ইতোমধ্যে অনেক অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি অবহিত করেছেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মিলিজিয়াসমিন বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্নীত হয়ে এবং অনেকেই এই বিদ্যালয়ে আসার জন্য মরিয়া হয়ে আমার বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত মঙ্গলবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল আউয়াল সরেজমিনে স্কুলে এসে বিষয়টি তদন্ত করেছেন। তিনি তদন্তে এসে অভিযোগকারীর উপস্থিত এবং খোঁজ পাননি। গত রবিবার বিকালে আমি এবং প্রধান শিক্ষক আশুতোষ কুমার মন্ডল অফিসিয়াল কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে যায়। সেখানে অফিসিয়াল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে শিক্ষা অফিসার শিক্ষক আশুতোষ কুমার মন্ডলকে হুমকি দিয়েছে বিষয়টি আদৌ সঠিক নয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, একটা সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসে একটি চক্র বাণিজ্য করতো। এটা বন্ধ করে দেয়ায় তারা আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আশুতোষ কুমার মন্ডল একজন সিনিয়র শিক্ষক। তার সাথে অসদাচরণ করা হয়েছে এবং ভারতে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে এই বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়ার জন্য এ ধরণের অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে।
খুলনা বিভাগ