দেশে কেনো গণতন্ত্র নেই-ব্যারিস্টার মইনুল

ঢাকা অফিস: দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই- অভিযোগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, ‘রাজনীতি ও গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে পারছি না।’
তিনি বলেন, এই বৃদ্ধ বয়সেও গুম আতঙ্ক কাজ করছে। চলমান রাজনীতির বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে একটি গণমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ব্যারিস্টার মইনুল। এরআগেও নানাভাবে রাজনীতির অঙ্গনে বিশেষ আলোচনায় থেকেছেন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
‘আমার নিজের মধ্যেও এই বৃদ্ধ বয়সে গুম আতঙ্ক কাজ করছে। এ কারণে রাজনীতির বিষয় নিয়ে আর কথা বলা যাচ্ছে না।‘
‘আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘একটি টেলিভিশন লাইভে এক নারীর প্রশ্নের জবাবে উত্তর দিতে গিয়ে যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, তা কোনো সভ্য দেশের চরিত্র হতে পারে না। সর্বত্রই মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।’
গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টিভিতে এক নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মইনুলের করা মন্তব্য নিয়ে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন ওই সাংবাদিক। এছাড়া বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। এরপর রংপুর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে আরও কয়েকটি মামলা হয়।
রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত বছর ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৭ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।
ঢাকা বিভাগ