ঢাক ঢোল পিটিয়ে স্যারেন্ডার পুন:বাসন ক্রসে মৃত্যু কিন্তু তারপরও থামছে না জেলে অপহরণ

বঙ্গোপসাগর জেলেদের বহর থেকে জলদস্যু বাহিনী চারটি ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে অপহরণ করে মুক্কিপল চাচ্ছে একটি জলদস্যু চক্র
সুনীল ঘোষ: এত ঢাক ঢোল পিটিয়ে বন ও জলদস্যুদের আত্মসম্র্পণ ও বিভিন্ন সময় ক্রসে ফায়ারে হত্যার পরও অপহরণ লুটপাট মুক্তিপণ আদায় বন্ধ হচ্ছে না। রোববার বঙ্গোপসাগর জেলেদের বহর থেকে জলদস্যু বাহিনী চারটি ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে অপহরণ করেছে একটি জলদস্যু চক্রে।
রবিবার বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর কাছে ফিরে আসা জেলেরা েই অভিযোগ করেন। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের জাহাজের খারি এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অপহৃত জেলেদের সবার নাম ঠিকানা মেলেনি।
ফিরে আসা জেলেরা ট্রলার মালিক সমিতি গোলাম মোস্তফাকে জানিয়েছেন, জলদস্যুরা জেলেদের মারধর করে বরগুনা পাথরঘাটার ‘এফবি মা’ ভোলা জেলার ‘এফবি হিমা’ চট্টগ্রাম জেলার বাশঁখালীর ‘এফবি কহিনুর’ ও ‘এফবি জান্নতুল ফেরদৌস’ ট্রলারসহ ২০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যু বাহিনী।
অপহৃত জেলেদের মধ্যে রয়েছেন, বরগুনা জেলার পাথরঘাটার এফবি মা ট্রলারের আব্দুর রহিম মাঝি, ফারুক, বেল্লাল ও কুডি মিরা এবং ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার এফবি হিমা ট্রলারের জাকের মাঝি। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
এফবি মা ট্রলারের ফিরে আসা জেলে জাহিদ, কালাম শিকদার, রাজু, হাসান, কামালের বরাত দিয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, শুক্রবার সকালে বঙ্গোপসাগরের জাহাজ খারি এলাকায় জেলেরা জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলো। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী অগ্নেয়াস্ত্র পাইপ গান ও কাটা রাইফেল নিয়ে জেলে বহরে হামলা চালায়।
আরো পড়ুন>> বরগুনায় ডাকাতের গুলিতে জেলের মৃত্যু
তিনি বলেন, রাত ১২টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের মনিরের মালিকানাধীন ‘এফবি মনির’ ট্রলারে জেলেদের উঠিয়ে দিয়ে মুক্তিপণের দাবিতে চারটি ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরে ফিরে আসা জেলেরা রবিবার সকালে কক্সবাজারে পৌঁছায়। তারা বর্তমানে কক্সবাজারের ফিসারি ঘাটের মাছুম আড়তদারের হেফাজতে রয়েছেন।
পরে সকালে মোবাইল ফোনে ১৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে জলদস্যু বাহিনী। তবে ওই বাহিনীর নাম জানা যায়নি বলেও জানান তিনি। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী মোবাইল ফোনে জানান, খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। অপহৃত জেলে ও ট্রলার উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সচেতন মহল বলছেন এতো আত্মসম্র্পণ ও তাদের পুন:বাসন এবং অনেকেই ক্রস ফায়ারে নিহত হলেও জেলেদের নিরাপত্তা করা যাচ্ছে না। এনিয়ে জেলে পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছেই চলেছে।
সাগরপাড়ের মানুষ মনে করেন, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সদস্যের গোপন সমঝোমতা থাকতে পারে । নইলে এত সাহস তারা পাচ্ছে কোথায় ?
খুলনা বিভাগ