ঝিনাইদহে ৩ মাসে শিশুসহ ৯ জনের লাশ উদ্ধার

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলায় গত তিন (জানুয়ারি-মার্চ ২০১৯) মাসে খুনসহ ৯টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ৪জন গৃহবধূ ও একজন শিশু রয়েছে। এসব হত্যাকা-ের বেশির ভাগ পারিবারিক ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ জানুয়ারি ঝিনাইদহ শহরের মুরারীদহ গ্রামে শিশু বিল্লালকে হত্যা করা হয়। তার লাশ একটি গলাবাগানে পড়ে ছিল। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ৭ জানুয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলার বড় ডাউটি গ্রামের শিউলি খাতুনকে হত্যা করে তার স্বামী। এ ঘটননায় তার স্বামী আনিচুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ২০ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মায়াধরপুর গ্রামে তারেক নামে এক যুবকে শরীরে বিষ প্রয়োগে করে হত্যা করা হয় বলে তার স্বজনরা আদালতে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে ভিসেরা রিপোর্টে তার শরীরে বিষও পাওয়া যায়।
৪ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপার গাবলা গ্রামে লিপা ওরফে সাথী নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ কাঠাল গাছে ঝুরিয়ে রাখা হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরের সুইট হোটেলের পুকুরে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এখনো লাশের পরিচয় মেলেনি। তাকে হত্যা করা হতে পারে এমন সন্দেহ করছে পুলিশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনতে এসে খুন হয় আসলাম মন্ডল। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ। ২৭ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ শহরে রেবা রানীকে হত্যার পর তার স্বামী আত্মহত্যা করে। ৬ মার্চ কালীগঞ্জের শহর ঘিঘাটি গ্রামে শিউলি খাতুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে বলে শিউলির স্বজনরা অভিযোগ করেন। ১৪ মার্চ মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের মাঠে লিটু নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলায়। লাশ পাওয়ার একদিন আগে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লিটুকে গ্রেপ্তার করে বলে তার স্বজনদের অভিযোগ।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস বলেন, এখানে কোন রাজনৈতিক বা গোপন চরমপন্থী দলের হাতে কোন হত্যাকান্ড নেই। তিনি বলেন এসব হত্যাকান্ডের বেশির ভাগ পারিবারিক ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ বিশের ভাগ মামলার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে।
খুলনা বিভাগ