>>নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী নারীর মামলা
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি:যশোরের চৌগাছায় এক ইউনিয়ন জামায়াত আমীরের ছেলের বিরুদ্ধে ভূয়া কাবিনে বিয়ের মাধ্যমে এক নারীর সাথে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত আব্দুর রহমান চৌগাছার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন জামাতের আমীর এবং আন্দারকোটা মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাও. আবু বকরের ছেলে। সাবেক শিবির নেতা আব্দুর রহমান বর্তমানে বরিশালের গৌরনদিতে ‘ইবনে সিনা ফার্মসিউটিক্যালস’র মার্কেটিং-এ কর্মরত আছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি চৌগাছা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের নার্স। দেড় বছর আগে আব্দুর রহমানের সাথে তার পরিচয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল আব্দুর রহমান আমাকে যশোর শহরে নিয়ে কাবিননামার কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ে করেন। তিনি বলেন, এরপর থেকে আব্দুর রহমান আমার কর্মস্থলে আসা-যাওয়া, রাত্রি যাপন ও দৈহিক মেলামেশা করতে থাকেন। কিছুদিন পর জানতে পারি তার বিয়ের কাবিননামা ভূয়া। তখন স্থানীয়ভাবে গত ১ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরবর্তীতে তিনি গর্ভবতী হন। এরইমধ্যে আব্দুর রহমান হঠাৎ করেই গত ১৪ মার্চ তালাক দিয়েছেন বলে শুনেছি। তবে তালাক নোটিশ এখনো হাতে পাননি বলেও উল্লেখ করেন ওই নারী। উপায়ান্তর না পেয়ে তিনি বাচ্চাটি নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওই নারী গত ২১ মার্চ যশোরের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌগাছা আমলী আদলতে স্বামী আব্দুর রহমান, শ^শুর উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও আন্দারকোটা মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক মাও. আবু বকর সিদ্দিক, শাশুড়ি শামসুন্নাহার এবং স্বামীর বোন আসমার বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা আইন ২০১২ এর ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ধারায় একটি মামলা করেছেন। বুধবার ওই নারী জানান তার স্বামী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জুডিশিলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে আব্দুর রহমানের মোবাইলে কর করা হলে তিনি প্রথমে বিয়ের ঘটনাটি মিথ্যা বলে দাদি করেন। বিয়ে করেননি দাবি করে আব্দুর রহমান বলেন আমরা ফ্রেন্ড ছিলাম এবং প্রেগনেন্ট হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনি কিভাবে এতো নিশ্চিত হচ্ছেন উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার আত্মবিশ^াস (অভার কনফিডেন্স) আছে’। বিয়ে করেননি তাহলে তালাক পাঠিয়েছেন কেনো জানতে চাইলে ‘পরে কথা বলছি’ বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
আব্দুর রহমানের পিতা ও উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাও. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমি আগে কিছুই জানতাম না। ১৫ মার্চের পর আমি জানতে পারি। ঘটনাটি আমরা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। এ নিয়ে লেখালিখি না করার জন্য অনুরোধ করেন।