চৌগাছায় চরিত্রহীন শিক্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

এবিসি বাংলা ডেস্কএবিসি বাংলা ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:06 PM, 20 March 2019

স্টাফ রিপোার্টার, চৌগাছা: যশোরের চৌগাছার এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাহান কবীর কর্তৃক ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে শহরের ভাস্কর্য মেড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধনে প্রধান শিক্ষকের অপসরণ চেয়ে শ্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
মানবন্ধনের আগে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ করে। এসময় ১৫ জন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলমের নিকট জমা দেন বিক্ষোভকারিরা। পড়ুন>>>যশোরে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ফেঁসে গেলেন শিক্ষক

জানা গেছে, উপজেলার এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজান কবীর তারই স্কুলের ৮ম ও ৭ম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ান। সেখানে তিনি প্রায়ই ছাত্রীদের কু-পস্তাব দেওয়াসহ উত্যক্ত করেন। মঙ্গলবার প্রাইভেট পড়ানর সময় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী এবং ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী একসাথে প্রাইভেট পড়তে আসলে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে বাইরে থাকতে বলে। এরপর রুমের মধ্যে ওই ছাত্রীকে তিনি শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। ওই ছাত্রী চিৎকার দিয়ে প্রধান শিক্ষককে ধাক্কা মেরে বাইরে এসে সবাইকে বলে দিলে ঘটনা জানাজানি হয়। এসময় ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ওই প্রধান শিক্ষককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এঘটান ছাত্রীর অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মোবাইল ফোনে জানান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। এরআগেই সেখানে চৌগাছা থানা পুলিশের দু’জন এসআই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই শিক্ষা কর্মকর্তা ছাত্রীদের নিকট জানতে চাইলে তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন বলে জানান শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান।
এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রী ও অভিভাবক জানান প্রধান শিক্ষকের এটি পুরনো রোগ। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই এ ধরনের অভিযোগ হয়ে আসছে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি বারবার রক্ষা পাচ্ছেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তার কঠোর শাস্তির দাবী করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলম বলেন, মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি করে দেয়া হবে। তারা তদন্ত করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবেন। দোষ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শাহাজান কবির বলেন, একটি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে।

খুলনা বিভাগ

আপনার মতামত লিখুন :