কারা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ খন্ডন খালেদা জিয়ার

এবিসি ডেস্ক: আদালতে অনুপস্থিতির জন্য ঘুমানোর যে কারণ কারা কর্তৃপক্ষ দেখিয়েছিল, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন>>>কাদেরকে দেখতে যাচ্ছেন ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা
নাইকো দুর্নীতির মামলায় রোববার পুরান ঢাকার কারাগারে স্থাপিত আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেছেন, “আমি প্রস্তুত ছিলাম, আমাকে আদালতে আনা হয়নি। অথচ বলা হয়েছে, আমি ইচ্ছা করে আদালতে আসিনি। সেটা ঠিক না।”
এই মামলায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির ধার্য দিনে অনুপস্থিত ছিলেন ওই কারাগারের ভেতরে দোতলার একটি কক্ষে একমাত্র বন্দি হিসেবে ধাকা বিএনপি চেয়ারপারসন।
সেদিন কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছিল, খালেদা জিয়া ‘ঘুম থেকে না ওঠায়’ তাকে আদালতে উপস্থিত করা যায়নি।
বন্দি খালেদা জিয়াকে হাসপাতালেও হুইল চেয়ারে দেখা গিয়েছিল (ফাইল ছবি) বন্দি খালেদা জিয়াকে হাসপাতালেও হুইল চেয়ারে দেখা গিয়েছিল (ফাইল ছবি)
হুইল চেয়ারে করে রোববার দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে আদালতে আনা হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। এজলাসে ছিলেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। আদালতের কার্যক্রম শেষ হয় ১টা ৪৮ মিনিটে।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে কোনো শুনানি হয়নি। আদালতের কার্যক্রম শেষে তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
খালেদার অন্যতম আইনজীবী জিয়াউদ্দিন জিয়া জানান, প্রয়োজনীয় নথিপত্র তাদের হাতে আসেনি বলে শুনানির জন্য তারা সময় চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদনও জানান তারা।
এই আইনজীবী বলেন, “আদালতের ভেতরে খালেদা জিয়ার পাশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বসেছিলেন। এসময় তারা দুজনে কথা বলছিলেন।”
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত ৭৩ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এক বছরের বেশি সময় পুরান ঢাকার ওই কারাগারে রয়েছেন। মাঝে কিছু দিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
এই কারাগারেই রয়েছেন খালেদা জিয়া এই কারাগারেই রয়েছেন খালেদা জিয়া
নাইকো দুর্নীতিসহ তার বিরুদ্ধে করা আরও কয়েকটি মামলার বিচার চলছে ওই কারাগারের ভেতরে আদালত বসিয়ে।
নাইকো দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করা হয় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের তেজগাঁও থানায় করা এই মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম সাহেদুর রহমান।
তারপর ১১ বছর গড়ালেও এখনও অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা যায়নি।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে করা এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
সূত্র:বিডিনিউজ
বাংলাদেশ