আদালতে মামলা ঝুলে অথচ ঘুষ নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ !

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধিন থাকাবস্থায় তালার মাগুরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেবার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজ্ঞ আদালতকে উপেক্ষা করে এক প্রার্থীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এঘটনার প্রতিকার পেতে ৯৭ জন অভিভাবক স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। পড়ুন>>>অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
স্থানীয় সমাজ সেবক সুনীল কুমার দাস জানান, বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্যসহ ব্যাপক অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য বিগত ২০১৮ সালে মাগুরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের সময় ব্যাপক কারচুপির আশ্রয় গ্রহন করেন প্রধান শিক্ষক বিশ^াস দুলাল কুমার। তিনি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ভোটের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে একক ভাবে সভাপতি নির্বাচিত করান। এঘটনায় ওই ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা (৮২/১৮) দায়ের করা হয়, যা এখনও বিচারাধিন রয়েছে।
সুনীল কুমার দাস অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা বিচারাধিন থাকা অবস্থায় গোপনে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে প্রধান শিক্ষক বিশ^াস দুলাল কুমার। ১০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে কলারোয়া উপজেলার হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিপংকর ঘোষের নিয়োগ নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নিয়োগ বোর্ড করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে, ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকা এবং বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ বন্ধের দাবিতে আবেদন করার পরও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে অভিভাবকসহ এলাকার শিক্ষানুরাগীদের মাঝে। তাঁরা এই নিয়োগ বন্ধের জন্য সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ সহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এর দৃষ্টি আর্কষন করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান বলেন, নিয়োগের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে নিয়োগ বোর্ড বন্ধের জন্য ম্যানেজিং কমিটি বা অন্য কোনও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাইনি।