আজ উদীচী ট্রাজেডি দিবস:২০বছরেও মেলেনি বিচার

এবিসি নিউজ: আজ আরেক কলঙ্কজনক দিন ৬ মার্চ। দিনটিকে উদীচী ট্রাজেডি দিবস বলা হয়। ১৯৯৯ সালের এইদিনে যশোরের ঐতিহাসিক টাউনহল ময়দানে উদীচীর সম্মেলনে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ যায় তরতাজা ১০ জনের। ছিন্ন বিছিন্ন লাশ আর রক্তের স্রোত মিছিলে গোটা অনুষ্ঠানস্থলকে করে তোলে মৃত্যুপুরী। হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন আরো অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ। বর্বরোচিত সেই ঘটনার ২০ বছর পার হয়েছে কিন্তু দেখা মেলেনি কোন বিচার।
যশোর আদালতের সরকারি পিপি এড রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বর্তমানে উদীচী হত্যা মামলাটি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এই বর্বোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার কবে সম্পন্ন হবে, তা জানা নেই। তবে পৈশাচিক এই হত্যাযজ্ঞ মামলার বিচার আবার শুরু হবে বলে তিনি আশা করছেন।
বোমার আঘাতে দুটি পা হারিয়ে অভিশপ্ত জীবনযাপন করছেন শহরের বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোড এলাকার নূর ইসলাম নাহিদ। ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে না পারায় ক্ষত পায়ে বাসা বেঁধেছে গ্যাংগ্রিন।
আরো পড়ুন>>শিশু ছাত্রী তিশার খুনি গোলাগুলিতে পরপারে
ওই হামলায় নিহত হন সাংস্কৃতিক কর্মী তপন । তপনের মা সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা শামছুন নাহার বলেন, সন্তান হারিয়েছি কিন্তু আজও বিচার পাইনি। তিনি মৃত্যুর আগে বিচার দেখে যেতে চান।
ভয়াবহ সেই দিনটি স্মরণ করতে আজ উদীচী যশোর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শহীদ স্মারকে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করবে।
আলোচিত মামলাটির বিচার নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু বলেন, এ ঘটনার বিচার না হওয়ায় দেশে পরবর্তীতে বড় ধরণের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো ঘটেছে।
যশোরের সচেতন নাগরিক সমাজের অনেকে মনে করে বিচারের দির্ঘসূত্রিতা আরও অপরাধের জন্ম দিচ্ছে।
এসব পৈশাচিক হত্যাকান্ডের বিচার দ্রুতই সম্পন্ন করা উচিত। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরুতে না পারলে জাতি কলঙ্কমুক্ত হতে পারবে না। বিচার বিভাগের উপর থেকে আস্থা হারাবেন।
তারা মনে করেন, সরকার উদীচী ট্রাজেডি মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুতই সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেবে।
খুলনা বিভাগ