অভয়নগরে সুপাইভাইজারকে ট্রাকের নিচেই ফেলে হত্যা

>>>হত্যাকান্ডের সাথে অভয়নগর ট্রান্সপোর্টের ৪টি ট্রাক (যশোর-ট ১১-৪৭১১, যশোর-ট ১১- ৩৯৪৯, যশোর-ট ১১-৩৯৩২ ও যশোর-ট ১১-৪৬০২) এর চালক, হেলপার ও স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক সারসরি জড়িত ছিল-দাবী প্রত্যক্ষদর্শীদের
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: নওয়াপাড়ায় আকাশ মাদবর (৩২) নামের এক পরিবহন সুপারভাইজারকে পিটিয়ে চলন্ত ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা সংলগ্ন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে যশোর-খুলনা মহাসড়কে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহত আকাশ শরীয়তপুর জেলার পালং থানার ডোমসার গ্রামের আদু মাদবরের ছেলে। সে ফেম পরিবহনের শরিয়াতপুর টু বেনাপোল বাসের সুপারভাইজর। ঘটনার পর থেকে যশোর-খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরণ করেছে। অভয়নগর থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ফেম পরিবহন (শরিয়তপুর-ব ১১-০০০২) এর চালক ছাত্তার জানান, শুক্রবার সকালে শরিয়তপুর থেকে যাত্রী নিয়ে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। দুপুরে অভয়নগরের নওয়াপাড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সামনে যানজট দেখে তাঁর সুপারভাইজার শরীয়তপুর আন্তঃ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য (পরিচয়পত্র নং-৭২৭) আকাশ মাদবর গাড়ি থেকে হেলপারকে সাথে নিয়ে নেমে পড়েন। এরপর তিনি শুধু দেখেছেন সুপারভাইজারকে পিটিয়ে চলন্ত ট্রাকের নিচে ফেলে দিতে। কথাগুলো বলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শী আহত হেলপার পারভেজ জানান, সুপারভাইজার আকাশ যানজট নিরসনে দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক সরাতে চেষ্টা করেন। ট্রাকের হেলপার ও ড্রাইভার গাড়ি সরাতে রাজি না হলে দু’জনের মধ্যে বাকবিত-া শুরু হয়। এসময় পাশে দাড়িয়ে থাকা অভয়নগর ট্রান্সপোর্ট নামের ৪টি ট্রাকের হেলপার, ড্রাইভার ও স্থানীয় লোকজন সুপারভাইজারকে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে আকাশকে মারতে মারতে চলন্ত তেলবাহী একটি ট্রাকের নিচে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ এসে সড়কে পড়ে থাকা আকাশের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভয়নগর থানার এসআই জিয়াউর রহমান প্রতক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, ফেম পরিবহনের সুপারভাইজার আকাশ মাদবরকে পিটিয়ে চলন্ত ট্রাকের নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়। প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকা- বলে মনে হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্মম এই হত্যাকা-ের বিচার হওয়া উচিৎ। বিনাকারণে একজন পরিবহন সুপারভাইজারকে পিটিয়ে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে অভয়নগর ট্রান্সপোর্টের ৪টি ট্রাক (যশোর-ট ১১-৪৭১১, যশোর-ট ১১- ৩৯৪৯, যশোর-ট ১১-৩৯৩২ ও যশোর-ট ১১-৪৬০২) এর চালক, হেলপার ও স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক সারসরি জড়িত ছিল। এদেরকে আটক করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
তাঁরা আরোও জানান, যে চলন্ত তেলবাহী ট্রাকের নিচে সুপারভাইজারকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে, সেই ট্রাকটিকে স্থানীয় জনগণ ছেড়ে দিয়েছে। কারণ ঐ ট্রাকের কোন অপরাধ ছিল না।
খুলনা বিভাগ