অভয়নগরে প্রচারণার শেষ মুহুর্তে নৌকার পালে হাওয়া

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:৩১ মার্চ অভয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ভোট সংগ্রহে বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছেন ভোটারদের কাছে। তুলে ধরা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র। আগামীর উন্নয়ন সম্পর্কে দেয়া হচ্ছে বাস্তবসম্মত ধারণা।
এ উপজেলয় চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক পীরজাদা শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর। অপরজন রবিন অধিকারী ব্যাচা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করছেন। শ্রমিক লীগের এই নেতা মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের উদ্যোগে দ্বিধাবিভক্ত নেতাকর্মীদের একাট্টা করে নৌকার পক্ষে কাজ শুরু করায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে বলে দাবি দলটির একাধিক সূত্রের।
উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব এনামুল হক বাবুল বিভিন্ন নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্যকালে বলেন, বিভ্রান্ত ও লোভের বসবর্তী হয়ে একটি সুবিধাবাদী মহল নৌকার বিপক্ষে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ ধরণের নেতাকর্মী তাদের ভুল বুঝতে পেরে নৌকার পক্ষে কাজ করা শুরু করেছেন। দু’একজন যারা রয়েছেন তারাও দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ভুল বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের পক্ষে ফিরে আসবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল বলেন, আমরা ব্যক্তি চিনি না, নৌকা চিনি। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। চলিশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাদির মোল্যা একই সুরে বলেন, নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। পায়রা ইউপি চেয়ারম্যান বিষ্ণুপদ দত্ত, সিদ্ধিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান খান এ কামাল, শুভরাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, যারা বিভ্রান্ত হয়ে নৌকার বাইরে কাজ করছিল তারা ইতোমধ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত বলেন, নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন ঐক্যবদ্ধ। এ নির্বাচনে নৌকার বিপর্যয় হলে এলাকার মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক সরদার অলিয়ার রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখতে নৌকার বিকল্প নাই। উপজেলা নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে অবিরাম কাজ করে চলেছি। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় ভোটের উৎসবের আমেজ অনেক কম। সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণ ভোট প্রদান নিয়ে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, অভয়নগরের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আমার পিতা মরহুম শাহ্ হাদীউজ্জামান যশোর-৪ আসন থেকে পাঁচ বার এমপি এবং পরবর্তীতে যশোর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সৎ ও সততার প্রতীক। আমি আমার পিতার মত মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকতে চাই। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।
খুলনা বিভাগ