অভয়নগরে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ১১:একজন গুলিবিদ্ধ

>>>নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর লুটপাট, পুলিশ মোতায়েন
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি: অভয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নির্বাচনী অফিস, বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনন্ত ১১ জন আহত হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটে রোববার রাতে উপজেলার প্রেমবাগ, চলিশিয়া, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নসহ নওয়াপাড়া পৌর এলাকায়।
জানা গেছে, ৩১ মার্চ অভয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন অধিকারী ব্যাচা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আনারস প্রতীকের সমর্থক ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা উপজেলার প্রেমবাগ, চলিশিয়া, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নসহ নওয়াপাড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী তান্ডবে মেতে ওঠে। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নৌকার নির্বাচনী অফিস, বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তাদের হামলায় কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ায় আনারস প্রতীকের কর্মী প্রেমবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সরদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আলম বাচ্চু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত সন্ত্রাসী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এসময় মাগুরা গ্রামের মৃত নির্মল কুমার ব্যানার্জী, সাবেক ইউপি সদস্য মাধব চক্রবর্তী ও আজাদ হুসাইনের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া মাগুরা বাজারের তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ নৌকার নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর করে।
এদিকে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মাগুরা বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় চলিশিয়া ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, কোটা গ্রামের মনিরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, আরিফুল ইসলাম, শামীম বিশ্বাস, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের লতিফ, আনারুল, সুব্রত এবং নওয়াপাড়া পৌর এলাকার একতারপুর গ্রামের রেজা ফারাজী আহত হন। এসময় বুইকরা গ্রামের দুবাই মিজান গুলিবিদ্ধ হন। তাদের অভয়নগর উপজেলা, ফুলতলা উপজেলা ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ্ ফরিদ জাহাঙ্গীর বলেন, নির্বাচনে হেরে প্রতিপক্ষ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন ও আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। এ সময় তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংস ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগ